সিলেট ভ্রমণে নতুন চমক বিকি বিলঃ লাখে লাখ লাল শাপলা
প্রকাশিত হয়েছে : ১:০৮:২২,অপরাহ্ন ০৮ অক্টোবর ২০১৯ | সংবাদটি ৮৮৫ বার পঠিত
💠 শাহীন আহমেদ
অক্টোবর মাসের ৭ তারিখ, ভোর ছয়টা, টাঙ্গুয়া হাওরের সুলতান বাবরুল হাসান বাবলু ফোন করে বললেন ভাইজান রেডি, বললাম অবশ্যই রেডি। ইতিমধ্যে সোহাগ তার দলবল নিয়ে এসেছে।
আমরা মোটর সাইকেলে রওয়ানা করেছি তাহিরপুর ব্রিজ থেকে। গন্তব্য লাল শাপলা বিকি বিল।স্থানীয়রা ডাকেন বেকি বিল নামে।
সকালের মায়া মাখা নরম হাওয়ায় আমরা এগিয়ে চলেছি। বামপাশের মাটিয়ান হাওর। এই হাওর পশ্চিমে গিয়ে মিলেছে টাঙ্গুয়া হাওরের সঙ্গে। যেতে যেতে একসময় পেয়ে যাই পাথার গাও গ্রাম।
প্রায় এক হাজার একর জুড়ে শুধু শাপলা আর শাপলা
এঞ্জিন নৌকায় পাড়ি দিই একটি খাল। খালের পানি নীলে মাখামাখি। তারপর বাধাঘাট বাজার। এই বাজার টা অনেক বড়। আমরা নাস্তা সেরে নিই বাজারের এক রেস্তোরাঁয়। এবার এগুতে থাকি বিকি বিলের দিকে।
আগে থেকেই আমাদের অপেক্ষায় ছিলেন– স্থানীয় স্কুল শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ভাই। বিলের কাছেই তার বাড়ি। তার জন্যেই আমাদের বিল ভ্রমণ খুব সহজ হয়। বিলে পৌছে নিজেরাই দুটো নৌকা নিয়ে নেমে পড়ি।
প্রায় এক হাজার একর জুড়ে শুধু শাপলা আর শাপলা। দক্ষিণে দাড়িয়ে আছে আকাশ ছুই ছুই মেঘালয়ের খাসিয়া পাহাড়। খুলনার তেরো খাদা, বরিশালের শাতলা এবং সিলেটের ডিবির হাওরের চেয়ে এখানে শাপলা অনেক বেশি।
শুরুতেই একদল হাঁসের সঙ্গে মোলাকাত হয়ে যায়। হাওরের হাস দেখতে দারুণ লাগে। তারপর দেখি হাওরে নানান জাতের তাজা মাছ। এরপর দেখি আর ছবি তুলি -শুধু শাপলা আর শাপলা।
যেভাবে যাবেনঃ
দেশের যে কোন যায়গা থেকে সুনামগঞ্জে আসুন। এখান থেকে মোটরসাইকেল নিন বাধাঘাট হয়ে বিকি বিল। ভাড়া ২০০ টাকা। আর তাহিরপুর থেকে একশো টাকা।
দয়াকরে যেখানে সেখানে প্লাস্টিক ও পলিথিন দ্রব্য ফেলবেন না।
একটা শাপলা ভুলেও ছিড়বেন না। যত দামী – যত কালারফুল শাড়ি, নাকফুল, ঝুমকা, টিকলি, হেডকাবার্ড হয়ে সেজেগুজে বিলিয়ে যান না কেন, কখনো ফুল ছিড়বেন না। কখনো না।
লেখকঃ টিম লিডার- ফেইস বাংলাদেশ।