তুরস্ক ও গ্রীসে শক্তিশালী ভুমিকম্প, নিহত বেড়ে ২২
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:১১:৪২,অপরাহ্ন ৩১ অক্টোবর ২০২০ | সংবাদটি ১২২ বার পঠিত
এখন সিলেট ডেস্কঃ
তুরস্ক ও গ্রিসে শুক্রবার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম সুত্রে জানা গেছে। আহত হয়েছেন চার শতাধিক। রিখটার স্কেলে ভুমিকম্পের মাত্রা ছিল সাত। একই সময়ে ভূমিকম্প অ্যাজিয়ান সাগরেও আঘাত হানে।
ভুমিকম্পের পর যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলেছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের শক্তি ছিল ৭ মাত্রার। তবে তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা (এএফএডি) জানিয়েছে , গ্রিনিচ সময় ১১টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিট) আঘাত হানা ভূমিকম্পটির রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৬ মাত্রায় ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম গুলো জানায়, ভূমিকম্পে ইজমির প্রদেশের ইজমির শহরে বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে। ভূমিকম্পের পরপরই সড়কে হাজার হাজার মানুষ নেমে আসেন।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলও ভূকম্পনে কেঁপে উঠেছিল। গ্রিসের সামোস দ্বীপেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এই দ্বীপে উঁচু ঢেউ আঘাত হানতে পারে জানিয়ে সতর্কতা জারি করে কর্তৃপক্ষ।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪১৯ জন।
তুরস্কের কর্মকর্তারা বলেছেন, ইজমির শহরে বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে। এসব ধ্বংসস্তূপে মানুষ আটকা পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আশপাশের আরও কয়েকটি প্রদেশেও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ইজমির শহরের মেয়র তুঙ্ক সয়ের বলেছেন, এই প্রদেশে প্রায় ২০টি ভবন ধসে পড়েছে। আর ইজমির প্রদেশের গভর্নর বলেছেন, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে তুরস্ক বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা।
১৯৯৯ সালের আগস্টে ইস্তাম্বুলের দক্ষিণ-পূর্বে ইজমিত শহরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্পের আঘাতে ১৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ২০১১ সালে পূর্বাঞ্চলীয় শহর ভানে ভূমিকম্পের আঘাতে পাঁচ শতাধিক মানুষ মারা যায়।
4 - 4Shares