সিলেটের পাঠানটুলায় যুবকের রহস্যজনক মৃত্যুঃ তরুণী আটক
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৪১:০৩,অপরাহ্ন ২২ নভেম্বর ২০২০ | সংবাদটি ৩০৪ বার পঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সিলেট নগরীর পাঠানটুলা থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এক তরুণীকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরের দিকে পাঠানটুলা এলাকার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকার একটি বাসার কক্ষ থেকে মিফতাহুর রহমান (৩৫) নামে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মিফতাহুর রহমান সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের কদমতলি গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে। প্রেমিকা সন্দেহে আটককৃত মেয়ের বাড়ি বাগেরহাটের ফকিরহাট থানা এলাকায়। পুলিশের ধারণা মিফতাহুর রহমান আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মিফতাহুর রহমান এবং ওই তরুণী একই বাসায় থাকতেন। তারা স্বামী স্ত্রী ছিলেন না। তবে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তরুণীর মা কয়েকদিন পূর্বে মেয়েকে মিফতাহুর রহমানের বাসায় রেখে যান।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিলো। এর জের ধরে রাতেই কিংবা শনিবার সকালে মিফতাহুর আত্মহত্যা করতে পারেন।
এদিকে, মিফতাহুর রহমানের পরিবার এটাকে হত্যা বলে মনে করছে। নিহতের চাচা মুহিবুর রহমান বলেন, আমাদের ধারণা হচ্ছে কেউ আমার ভাতিজাকে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলেছে। পরে আবার তার মরদেহ নামিয়ে রাখে। এমন ধারনার কারণ, তারা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান লাশ মেঝেতে পড়ে আছে।
এ ঘটনায় মিফতাহুরের বাবা মতিউর রহমান বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগ এনে ওই তরুণীকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
নিহতের চাচা মুহিবুর রহমান বলেন, মেয়েটিকে আমরা চিনি না। তাকে আমার ভাতিজার বাসায় পাওয়া গেছে। তাদের বিয়ে হয়েছিলো কী না সেটাও আমরা জানি না। মেয়েটির বাড়ি হচ্ছে বাগেরহাটের ফকিরহাট থানা এলাকায়। মিফতাহুর রহমানকে হত্যা করা হতে পারে বলেও অভিযোগ তার।
কোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিঞা বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
এসময় পুলিশ নিহত মিফতাহুর রহমানের প্রেমিকাকে আটক করেছে। ওই তরুণীর মা কয়েকদিন পূর্বে মিফতাহুর রহমানের বাসায় তাকে রেখে যান। শুক্রবার রাতে তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এতে দুজন দুই রুমে চলে যায়। মেয়েটি একরুমে বসে ব্লেড দিয়ে হাত কাটছিলো। আর ছেলেটি গলায় ফাঁস দেয় বলে জানিয়েছে তরুণী।